রবিবার, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ই-পেপার | আজকের পত্রিকা | আর্কাইভ | কনভার্টার অর্গানাইজেশন

ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা,যশোরে পারভেজ হত্যা

নিহতের বাবা তোতা বিশ্বাস বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাত ১২টায় এ মামলা করেন। মামলা নম্বর-১০৩।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন ঘোপ বউবাজার এলাকার জলিল হাওলাদারের ছেলে নূর আলম, জনৈক নজরুল, ডিআইজি রোড এলাকার নান্টু, বদ্দিন ও জুলফি।

অবশ্য পারভেজ হত্যার ঘটনায় কাউন্সিলর প্রার্থী শফিকুল ইসলাম সোহাগ তার প্রতিপক্ষ মোকসিমুল বারী অপু জড়িত বলে অভিযোগ করেছিলেন।

পারভেজের স্বজনরাও ঘটনার পর দাবি করেছিলেন পারভেজ শফিকুল ইসলাম সোহাগের প্রচারণা চালাতে গিয়ে খুন হন।

তোতা বিশ্বাসের দায়ের করা এক পৃষ্ঠার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, এজাহারনামীয় আসামিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা এমন কোনো খারাপ কাজ নেই যা তারা করে না। পারভেজ ক্যারামবোর্ড তৈরি করে বিক্রি করেন। এজাহার নামীয় আসামি ও সোহাগের সাথে পারভেজ ঘোরাফেরা করতেন। বেশিকিছুদিন ধরে তাদের সাথে পারভেজের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোহাগের নির্দেশে ১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আসামিরা বউবাজার এলাকার তসলিমের দোকানের সামনে পারভেজের গতিরোধ করে। এসময় তারা পারভেজকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পারভেজ নিজেকে বাঁচাতে তসলিমের ঘরের মধ্যে প্রবেশ করলে তাকে সেখানে গিয়েও কোপাতে থাকে। তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। হাসপাতালে আসা লোকজনদের কাছ থেকে এসকল তথ্য জেনে এসে তিনি এ মামলা করেন।

নিহতের পারভেজের মা ও স্থানীয়দের তথ্য মতে, পারভেজ কাউন্সিলর প্রার্থী শফিকুল ইসলাম সোহাগের নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। হত্যার পর তার মরদেহ দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন কাউন্সিলর প্রার্থী শফিকুল ইসলাম সোহাগ। মঙ্গলবার রাতেই তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতাল শয্যায় বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনি দাবি করেন, বর্তমান কাউন্সিলর মোকসিমুল বারী অপু তাকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলেছিলেন। এর দুইদিন পরই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পারভেজকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। ধাওয়া দিয়ে ওকে কুপিয়ে মেরেছে। অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রতিপক্ষ প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর মোকসিমুল বারী অপু।

তিনি বলেন, ‘প্রশ্নই ওঠে না। আমি তাকে বসে যেতে বলবো কেন? বরং তার পক্ষ থেকে আমার কাছে প্রস্তাব আসছে যে, আপনি যদি ওকে বসে যেতে বলেন তাহলে ও বসে যাবে। আমি প্রতিউত্তরে সেই ব্যক্তিকে বলেছিলাম যে, আমার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির উঠ পাখি মার্কার মালিক। সোহাগ তো আমার প্রতিপক্ষ না। ও ভোট করছে ওর মতো। আমি আমার মতো ভোট করি। এটুকুই কথা। আর একটা বিষয় হচ্ছে, যে মার্ডার হয়েছে তাকে সামনা-সামনি দেখলে চিনতে পারি। কিন্তু আমি তার নাম কোনোদিন শুনিনি। আর যারা মার্ডার করেছে তাদের আমি চিনি না বা জানি না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি জীবনে কোনোদিন কাউকে একটা থাপ্পড় মারতেও নির্দেশ দিইনি। হত্যা তো অনেক দূরের কথা। বরং এরকম ষড়যন্ত্র আমার বিরুদ্ধে বহু হয়েছে। কিন্তু ওপরওয়ালার ইচ্ছায় সৎ পথে চলেছি, আল্লাহ আমাকে সব ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত করেছে।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাব ইনসপেক্টর ইদ্রিসুর রহমান বলেন, ‘আমি মামলার তদন্তভার পেয়েছি। সুরতহাল শেষে এজাহারনামীয় আসামিদের ধরতে অভিযানে বের হয়েছি। এজাহারনামীয় সোহাগ কাউন্সিলর প্রার্থী শফিকুল ইসলাম সোহাগ কি-না বলতে পারবো না। কী কারণে কারা হত্যা করেছে তা উদ্ঘাটনে সকল অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।

জানতে চাইলে কাউন্সিলর প্রার্থী শফিকুল ইসলাম সোহাগ বলেন, ‘আমার পিতা মৃত জামাল হক। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে সন্ধ্যার দিকে শুনেছি যে, আমাকে মামলার আসামি করা হয়েছে। আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি। আমাকে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে।

GiGLovin
GiGLovin Marketplace - Buy Sell Digital Product Safely

দেশ-বিদেশের সকল খবর সবার আগে পেতে কলম কথা এর ইউটিউব চ্যানেল এ সাবস্ক্রাইব করুন

দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।